ইংরাজিতে ‘Lyric’ বা বাংলায় গীতিকাব্য
যে অর্থে ব্যবহৃত হয় সংস্কৃত সাহিত্যে সে জাতীয় কোন কাব্যবিভাগ স্বীকার করা হয়নি।তবে সংস্কৃত সাহিত্যে গীতিধর্মী খণ্ডকাব্যে গীতি কবিতার সন্ধান মেলে।বিশ্বনাথ
কবিরাজ তাঁর “সাহিত্য দর্পণ” গ্রন্থে খণ্ডকাব্যের
উল্লেখকরে বলেছেন-“খণ্ডকাব্যং ভবেৎ কাব্যস্যৈকদেশানুসারি চ”।মহাকাব্যের ছোট অংশরূপ এই খণ্ডকাব্য।সংকৃত খণ্ডকাব্য বা গীতি
কাব্য সার্থক রূপ লাভকরে মহাকবি কালিদাসের হাতে।কালিদাসের পরিণত বয়সের রচনা মেঘদূত
সর্বশ্রেষ্ঠ গীতিকাব্য।
মেঘদূত –কাব্য
পরিচয় ঃ-মন্দাক্রান্তা ছন্দে রচিত মেঘদূত পূর্বমেঘ ও
উত্তরমেঘ এই দুই ভাগে বিভক্ত।পূর্বমেঘে ৬৩ ও উত্তরমেঘে ৫২ অর্থাৎ মোট ১১৫ টি
শ্লোকে(বিতর্কিত)নিবদ্ধ এই কাব্য।কালিদাসের
মেঘদূত কাব্যের দূত অচেতন মেঘ।
বিষয়বস্তুঃ-স্বাধিকারপ্রমত্ত
কোন এক কামাসক্ত যক্ষ প্রভু অলকাধিপতি কুবেরের শাপে নির্বাসিত হন অলকা থেকে
রামগিরিতে।কোন এক ‘আষাঢ়স্য প্রথমদিবসে’একখণ্ড মেঘ দেখে প্রিয়ার
জন্য মন আকুল হয় এবং চেতন-অচেতন ভুলে মেঘকেই দূত করে অলকাতে পাঠান
যক্ষপ্রিয়ার খবর নিতে।
www.artstutorial.in/9064359401
পূর্বমেঘঃ-পূর্বমেঘে আছে যক্ষের মেঘকে দৌতপদ গ্রহণের
অনুরোধ এবং দক্ষিণ ভারতের রামগিরি থেকে উত্তর ভারতের অলকা যাওয়ার পথনির্দেশ।মেঘ
বাতাসে ভরকরে উত্তরদিকে গেলেই চোখে পরবে মুগ্ধসিদ্ধাঙ্গনাদের চকিত চাউনি,এরপর
ক্রমে ক্রমে আম্রকুট পর্বত,নর্মদা নদী,দশার্ণ
দেশ,বেত্রবতী নদী,বিলাসী
যুবকদের উদ্দম যৌবনলীলার রঙ্গভূমি নীচৈ পর্বত,ভক্তি-মুক্তির
পীঠস্থান উজ্জয়িনী নগরী,নির্বিন্ধ্যা নদী,সিন্ধুনদী,শিপ্রা
নদী, গন্ধবতী নদী পেরিয়ে মেঘ দেবগিরি অতিক্রম করে দেখবে
ব্রহ্মাবর্ত জনপদ।এরপর মেঘ পৌঁছবে কনখলে।আরও উত্তরে এগিয়ে কৈলাসের বিচিত্র শোভা
উপভোগ করতে করতে মেঘ পৌঁছবে স্বর্ণপদ্ম যুক্ত মানস সরোবরে।এখানে সে দেখতে পাবে প্রিয়তমের কোলে
বিস্রস্তবসনা প্রিয়তমার মতো কৈলাসের গায়ে অলকা নগরীকে।
এখানে CLASS XI-XII এবং
B.A HONOURS & GEN. সংস্কৃত বিষয় যত্ন সহকারে পড়ানো হয়।
বাংলা ও এডুকেশন পড়ানো হয়।
স্থান-ভাতার বাজার …… ……..আমারুণ বাজার।
MOB-7872686215
& 9064359401
TEACHER
:-ASRAF ALI
[ SANSKRIT HONS.,M.A,[Sanskrit
& Education]B.ED,
ACHARYA(SAHITYA 1st class)
|
উত্তরমেঘঃ-উত্তরমেঘে আছে কামনা বাসনার মোক্ষধাম অলকার বর্ণনা,যক্ষবধূর
বর্ণনা ও মেঘের সন্দেশ প্রদানের বিবরণ। www.artstutorial.in/9064359401
অলকার বর্ণনাঃ - দেবধনাধিপতি কুবেরের বাসভূমি হিমালয়ের
কোলে স্বচ্ছসলিলা গঙ্গায় শোভিত অলকা নগরী।মেঘ আর অলকা রঙে-রসে
এক,ছয় ঋতু একসঙ্গে তাদের সম্ভার উজার করে দিয়েছে
এই নগরীর বধূদের সাজাতে।ময়ূরেরা সারা বছর নৃত্যরত,কৃষ্ণপক্ষ
না থাকায় প্রতিরাত জ্যোৎস্নামণ্ডিত।যক্ষদের চোখের জল আনন্দের কারণে,প্রণয়
কলহ ভিন্ন কলহ নেই,যৌবনব্যতিত বয়স নেই।এই অলকাতেই
প্রবাহিত হয়েছে মন্দাকিনী নদী।সুখের উপকরণের সদ্ভাব এবং অ-সুখের
কারণের অভাব-দুইয়ের সঙ্গমে অলকাভূমি সদানন্দময়।
যক্ষগৃহ ও বধূর বর্ণনা ঃ-কুবেবরের প্রাসাদের ঠিক উত্তরে যক্ষের গৃহ।গৃহের প্রবেশ দ্বারে
রামধনুর আকার ও বর্ণের বাহারে গড়া তোরণ।গৃহের দুই পাশে আঁকা শঙ্খ আর পদ্ম,মেঘ
সেখানে জোনাকির মতো স্বল্পবিদ্যুতের আলো দিয়ে গবাক্ষপথেযক্ষবধূকেদেখবে। এরপর
মেঘ নিজ প্রিয়ার রূপ বর্ণনা করেছেন-“ত
শ্যামা শিখরদশনা পক্ববিম্বাধরোষ্ঠী....” ইত্যাদি শ্লোকে-অর্থাৎ যক্ষপত্নী ,তপ্তকাঞ্চনাভা,দন্তপঙক্তি ডালিম বীজের মত,অধর-ওষ্ঠ
বিম্ব ফলের মত রক্তাভ,কটিদেশ ক্ষীণ,চকিত
হরিণীর মত তার চোখ,নাভী গভীর,নিতম্বের
গুরুভারে সে শ্লথগতি এবং স্তনভারে ঈষৎ আনত।তাকে দেখে যুবতীদের মধ্যে তাকে বিধাতার
প্রথম সৃষ্টি বলে মনে হবে।এরপর বিরহীনি প্রিয়ার বিরহব্যথা কল্পনা করেছেন যক্ষ। www.artstutorial.in/9064359401
মেঘের সন্দেশ প্রদান ঃ-মেঘ যক্ষ বধূকে দেখে স্বপরিচয় প্রদানের পর ‘অবিধবে’
বলে সম্বোধন করে মেঘ তাকে “ভর্ত্তুঃ
মিত্রম্” বলে পরিচয় দেবে।সম্বোধনেই মেঘ বুঝিয়ে
দেবে তার স্বামী কুশলে আছে।মেঘ তাকে জানাবে তার স্বামী তার কুশল জানতে আগ্রহী। www.artstutorial.in/9064359401
মেঘ দূতের প্রভাব ঃ- ইহার অনুকরণে ৫০ টি দূতকাব্য রচিত হইয়াছে।ধোয়ীর পবনদূত,বেদান্তদেশিকের
হংসদূত,ব্রজনাথের মনোদূত এছারাও কাকদূত, কোকিলদূত,ভ্রমরদূত,দেবদূত
প্রভৃতি প্রধান।
কবিপ্রতিভার মূল্যায়ন ঃ- ভারতীয় আদর্শে বিরহবিচ্ছেদহীন প্রেম অসম্পূর্ণ।অলংকারশাস্ত্রে
বলা হয়েছে-“ন বিনা বিপ্রলম্ভেন সম্ভোগঃ
পুষ্টিমশ্নুতে”।বিরহাগ্নিতে দগ্ধ হয়েই প্রেম পরিণত হয়
নিকষিত প্রেমে।মহাকবি কালিদাস তার এই কাব্যেও অভিশাপের ধারা বজায় রেখেছেন পার্থিব
প্রেমকে স্বর্গীয় প্রেমে উন্নীত করতে।আত্মসর্বস্ব এবং কর্তব্যভ্রষ্ট প্রেম অবশ্যই
ভর্ত্সিত হতে বাধ্য।প্রকৃতি বর্ণনার মধ্যদিয়ে তৎকালিন যুগের নানান তথ্য আমাদের
ঞ্জানগোচর করেছেন মহাকবি।
0 মন্তব্যসমূহ